নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় যারা স্থান পাচ্ছেন, তাদের নাম ও দপ্তর জানিয়ে দেওয়া হবে সংবাদ সম্মেলন করে।
রোববার বিকাল ৫টায় এই সংবাদ সম্মেলন হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “মন্ত্রিসভায় কারা থাকছেন তা সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে।”
শপথের আগে এভাবে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা বাংলাদেশে আর কখনও হয়নি। কারা সরকারে থাকছেন তার চূড়ান্ত তালিকা জানতে সাংবাদিকদের শপথ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হত।
এদিকে নতুন মন্ত্রিসভার শপথের জন্য সব প্রস্তুতি শেষ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বঙ্গভবনে এই শপথ অনুষ্ঠান হবে বলে আগেই জানানো হয়েছে।
নতুন মন্ত্রীদের শপথের জন্য ফোল্ডার প্রস্তুত করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, এবার ৪৬ সদস্যের মন্ত্রিসভা হতে পারে বলে তাদের আভাস দেওয়া হয়েছে।
“নতুন মন্ত্রিসভায় ৩০ জনের মত নতুন মুখ থাকতে পারে, সেই হিসেবে বর্তমান মন্ত্রিসভায় ২৫ জনের মত সদস্য বাদ পড়তে যাচ্ছেন।”
রোববার সকালেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা শপথের জন্য আলাদা আলাদা ফাইল ও শপথ ফোল্ডার তৈরি করেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে গণভবনে ডেকে নেন প্রধানমন্ত্রী। ওই সময়ই তার হাতে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের তালিকা দেওয়া হয়।
মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রীদের চালকসহ সার্বক্ষণিক গাড়ির সুবিধা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের।
এই অধিদপ্তরের পরিবহন কমিশনার সৈয়দ আবদুল মমিন রোববার দুপুরে বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন মন্ত্রীদের ব্যবহারের জন্য গাড়ি প্রস্তুত করা হয়েছে।
কতগুলো গাড়ি প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে সেই প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমাদের এখনও গাড়ির সংখ্যা জানানো হয়নি। আমরা আমাদের সাধ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ সংখ্যক গাড়ি ডাইভারসহ প্রস্তুত রেখেছি। কোন গাড়ি কার ঠিকানায় যাবে তা ঠিক করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৩২ জন মন্ত্রী, ১৭ জন প্রতিমন্ত্রী এবং দুইজন উপ-মন্ত্রী গত পাঁচ বছর সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তাদের মধ্যে টেকনোক্র্যাট চার মন্ত্রী নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পদত্যাগ করেন।
সূত্র, বিডিনিউজ২৪.কম